বিয়ের আশায় ফেনীতে এসে ধর্ষণের শিকার থাইল্যান্ডের নারী।

ফেনীতে থাইল্যান্ডের নাগরিক এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভনে’ ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ।
গতকাল সোমবার মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আদালতে ধর্ষণের শিকার নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা রয়েছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষণের শিকার নারী জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও থাইল্যান্ডের নাগরিক বলে মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে। তিনি ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ে একটি মুদির দোকানের ব্যবসা করেন।
সেখানেই অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমানের সঙ্গে পরিচয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, একপর্যায়ে সেখানে দুজনে মিলে একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরে মোখসুদুরকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এক সময় অভিযুক্ত সে দেশে ভিসা সমস্যার কারণে কারাগারে গেলে তাকে মুক্ত করেন তিনি।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফেরেত আসেন মোখসুদুর। গত বছরের ২২ মার্চ বিয়ের কথা বলে ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন তিনি। একইভাবে মোখসুদুর গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল ওই নারী বাংলাদেশে এসে অভিযুক্তের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পরদিন ওই নারী বাদী হয়ে মোখসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ ও আরো দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
What's Your Reaction?






