পাবনায় গাঁজা সেবন করে খারাপ মেয়ে নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করার পরিকল্পনা। টাকা জোগাড় করতে না পেরে সাত বছরের শিশুকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা।

ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার একজন।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় সাত বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাঁজা সেবনের পর শিশুটিকে ধর্ষণের পর পরনের কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার আসামিরা।
আজ রোববার দুপুরে পাবনার চাটমোহর থানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ওসি মনজুরুল আলম।
গ্রেপ্তাররা হলো—বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়ফা গ্রামের সোহেল রানা (২৫), শেখ সাদি (১৬), শাকিব (১৬), দিয়ার গাড়ফা গরমাটি গ্রামের সিয়াম (১৩) ও চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের আবদুল্লাহ (১৬)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে চাটমোহর থানার ওসি জানান, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে শিশুটি তার দাদির বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে প্রতিবেশীর আমবাগানে আম কুড়াতে যায় সে। সেখান থেকে নজড়ে পড়ে বখাটে কিশোরদের। তারা তাকে ভুলিয়ে পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য মুখে এসিডজাতীয় পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা পহেলা বৈশাখে গাজা সেবন করে খারাপ মেয়ে নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করার পরিকল্পনা করছিল টাকা জোগাড় করতে না পারায়। শিশুটিকে পেয়ে তাকে ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। ঘটনার পর বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার ও ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদির কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
What's Your Reaction?






