ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়তে প্রস্তুত জাপান, বাড়ছে উদ্বেগ
ভয়াবহ সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়তে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাপান। দেশটি নাগরিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোর চরম আপত্তি সত্ত্বেও প্রায় ১৩ লাখ টনের মতো পানি বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়ার পরিকল্পনা টোকিওর। অবশ্য জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলের অনুমোদনের পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনেক দিন থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। ধারাবাহিক আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় জাপান সরকার। ২০১১ সালে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ভূ-কম্পনে সুনামি দেখা দেয়। ১৯৮৬ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের বিস্ফোরণের পর এটিই বড় দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মঙ্গলবার বলেছেন, আবহাওয়া ও সাগরের পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে প্ল্যান্টের অপারেটরকে আগামী ২৪ আগস্ট থেকে পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ করবে কর্তৃপক্ষ। রবিবার প্ল্যান্টে পরিদর্শনের পর তিনি এ কথা জানান।
অনেক দিন ধরে জাপান ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবেশবাদীরা। তাদের দাবি, এই বিষাক্ত পানি সাগরে ছাড়া হলে বিরুপ প্রভাব পড়বে। টোকিও’র দাবি, ফুকুশিমার পানি পরিশোধিত হওয়ায় সাগর ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা নেই।
জাপান সরকার ও আইএইএ জানিয়েছে, তেজস্ক্রিয় পানি পর্যায়ক্রমে কয়েক দশক ধরে সাগরে ছাড়া হবে। পানিতে মেশানো হবে স্বল্প ট্রিটিয়াম। ফলে সাগরের পানির জলজপ্রাণী ও মানুষের জন্য ঝুঁকি নেই।
এ পরিস্থিতিতে ফুকুশিমার আশপাশ থেকে মাছ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন।
What's Your Reaction?