জামিন হয়নি খুলনায় গ্রেফতার হওয়া সেই মায়ের
আমেরিকায় পিএইচডি গবেষক বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলুর রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খুলনায় গ্রেপ্তার মায়ের জামিন দেননি আদালত।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জামিন আদালত নামঞ্জুর করেন খুলনা সিএমএম তরিকুল ইসলামের আদালত । এরপর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, আমেরিকা প্রবাসী ছেলের ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কারণে তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে না। আইনের শাসন না থাকায় সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। আশা করছি, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
তানজিলুর রহমানের পিতা আলমগীর শিকদার বলেন, আমার স্ত্রী আনিছা সিদ্দিকার গ্রেপ্তারের পর থেকে আমাদের পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাসার আশপাশে অপরিচিত লোকের আনাগোনা দেখছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই রাকিব হাসান বলেন, আনিছা সিদ্দিকাসহ গ্রেপ্তারদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট খুলনার খালিশপুর থানা পুলিশ অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার অভিযোগে আনিছা সিদ্দিকাসহ (৪৫) তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার স্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার ছোট ছেলে তানজিলুর রহমান আমেরিকায় পিএইচডি গবেষণারত এবং বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। আমেরিকায় বসে ফেসবুকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুলনায় তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুজন ভাড়াটিয়া প্রতিবাদ করতে আসায় তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খালিশপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ ধর্মীয় উগ্রপন্থি বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, রেজিস্টার ও অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার কাজে ব্যবহৃত ৩টি ল্যাপটপ, পাসপোর্ট ও ৪টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রকিবুল ইসলাম (২৪), মো. তামিম ইকবাল (১৯) ও আনিছা সিদ্দিকা (৪৫)। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
What's Your Reaction?