কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ আইনজীবীর ভাড়া বাসায় মিলল
কুষ্টিয়ায় আইনজীবীর বাসা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি (২২) নামের এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে আইনজীবীর ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তুলি কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার ওহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করতেন।
আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমন কুষ্টিয়া জর্জ কোর্টের আইনজীবী। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর এলাকার মৃত তক্কেল আলীর ছেলে। সুমন জিলা স্কুলের সামনের একটা বাসার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে সুমনের সঙ্গে তুলির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন গত ১৮ আগস্ট সুমন কুষ্টিয়ার হরিপুরে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকেলে তুলি সুমনের বাসায় যান।
সন্ধ্যায় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে পুলিশ সুমনের বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তুলির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তুলির বড় বোন জান্নাতুল তাসনিম বলেন, ‘সাড়ে ৬টার দিকে ওই আইনজীবী তুলির দুলাভাইয়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার বাসায় যেতে বলেন। পরে তার বাসায় গিয়ে দেখি- আমার বোনের মরদেহ নিচতলায় একটি ভ্যানের ওপর রাখা। আমার বোনকে আইনজীবী মাহমুদুল ও তার বাসার লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সুমনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
What's Your Reaction?