আন্দোলনে তরুণদের পাশে চান মির্জা ফখরুল

Aug 23, 2023 - 16:02
 0  98
আন্দোলনে তরুণদের পাশে চান মির্জা ফখরুল
গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এশিয়ান সময়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তরুণরা ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু চলমান আন্দোলনে তরুণদের কম দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে। আজকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত 'নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন দেখি নারী লাঞ্ছিত হচ্ছে, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী লাঞ্ছিত হচ্ছে, তখন ছাত্ররা রাজপথে নামে না, তরুণরা প্রতিবাদী হয় না- তখন কষ্ট পাই। অথচ, পাকিস্তান শাসনামলে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এই ছাত্ররা, তরুণরা। দুর্ভাগ্য- আজকে আন্দোলনে সেই তরুণ ও ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না। তরুণদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে।


তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এক স্কুল ছাত্রের কাছে জানতে চাইলাম- তুমি বড় হয়ে কী হবে? সে বললো রাজনীতিবিদ হতে চাই। উত্তর শুনে অবাক হয়ে বললাম, কেন? বাচ্চাটি বলেলো-রাজনীতিবিদ হলে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। আসলে সেই বাচ্চাটির কোনো দোষ নেই। সে দেখেছে ক্ষমতাসীনরা কীভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আর পরিবর্তন আসবে তরুণদের মাধ্যমে।

যা বললেন, বিস্তারিত ভিডিওতে....

তিনি আরও বলেন, সরকারের সকল কর্মকাণ্ডই দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে। আজ এক ব্যক্তির কারণে সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আজকে তারা সমাজকে নষ্ট করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের দেশের মালিক মনে করে অথবা একব্যক্তি ও তাদের পরিবার এটা মনে করে। এ থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন বড় ধরনের একটি ঝাঁকি ও সংগ্রাম। একটি সুনামির মতো বড় অভ্যুত্থান ছাড়া এদের সরানো সম্ভব না।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। যখন এই দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছেন, গান পাউডার দিয়ে ১১ জনকে পুড়িয়ে মেরেছেন- তখন কোথায় ছিলো আপনাদের এই সংবিধান?

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে নিয়ে বলা হয়েছে- আমার মতো নাকি বড় মিথ্যাবাদী নেই! আমি নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। এটি শিষ্টাচার নয়। অবশ্য আওয়ামী লীগ শিষ্টাচারের দল নয়। এরা সন্ত্রাসী দল। এদের সবাই উগ্র। আজকে আওয়ামী লীগ গালিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে গণতন্ত্রকামী সকল দল আজ এক হয়েছে। এখন সকল মানুষকেও এক করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আজকে এমন কিছু নেই যেখানে আওয়ামী লীগ হাত দেয়নি। ব্যাংক খালি, লুটপাট করে জাতিকে পুরোপুরিভাবে দুর্নীতিপরায়ণ জাতিতে পরিণত করছে।

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, আবু হানিফ প্রমুখ।



What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow