প্রিগোজিনের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল পশ্চিমারা
রাশিয়ার মস্কোর টিভের অঞ্চলে বুধবার বিকেলে একটি বেসরকারি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনও রয়েছেন বলে জানিয়েছে রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা তাস।
তবে এ ঘটনার অনেক আগে থেকেই প্রিগোজিনের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করে আসছিলেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। অনেকটা রাখঢাক ছাড়াই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হতে পারে বলে দাবি করেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।
তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন।
গত জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি যদি প্রিগোজিন হতাম, তাহলে আমার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকতাম। আমার খাবারে মেনু হিসেবে কী দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নজরদাড়ি জারি রাখতাম।’
ওয়াগনারের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর বাইডেনের সুরে প্রিগোজিনকে সতর্ক করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বিল বার্নস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
গত জুলাই বিল বার্নস বলেন,‘আমরা যা দেখছি তা খুবই জটিল খেলা। পুতিন এমন একজন মানুষ যিনি মনে করেন প্রতিশোধই হলো সবচেয়ে ভালো কৌশল। আমার অভিজ্ঞতা বলে, পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে। আর প্রিগোজিন যদি পুতিনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যান, তাহলে আমি অবাকই হব।’
What's Your Reaction?