দেশ বাঁচাতে একদফার বিকল্প নেই; পাবনায় পেশাজীবি নেতারা
দেশ বাঁচাতে একদফার বিকল্প নেই উল্লেখ করে দাবি আদায়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একদফার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতারা। তারা বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের আন্দোলন বিএনপির একার নয়, এ সমস্যা আমাদের সবার। তাই সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে পাবনার রত্নদ্বীপ রিসোর্টে জেলা জাসাসের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে নাগরিক সমাজের ভূমিকা’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন পেশাজীবী নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) মহাসচিব সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, পাবনা জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগ, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছবির গল্পের পরিকল্পনা সহযোগী দ্বীন ইসলাম খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মাসুদ রানা প্রমুখ।
শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, গোটা দেশ আজ দুর্নীতিতে ডুবে আছে। অথচ দুদক এসব দেখে না। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও দলীয় মদদপুষ্ট ব্যবসায়ী এবং আমলারা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশের টাকা লুটে বিদেশে বেগমপাড়া গড়েছে। প্রতিদিন পত্রিকায় এসব দুর্নীতির খবর ফলাও করে ছাপা হলেও দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। অথচ দুর্নীতি না করেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফরমায়েশি সাজা দেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দুদকের কাজই হচ্ছে জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা। আমরা অবিলম্বে এ ধরনের ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানাচ্ছি।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন তাদের অধিকার রক্ষা, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ। এবার আমাদের লড়াই জীবন রক্ষার জন্য। কোনো ভয়, কোনো জেল বা দমন-পীড়ন এবার আমাদের দমন করতে পারবে না।
ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, দেশের জনগণ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকারকে পরাজিত করে শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, এবার বিএনপি হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মর্যাদার সঙ্গে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে এই পেশাজীবী নেতা বলেন, অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো আওয়ামী লীগ আবার কৌশল ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা ধরে রাখার কথা ভাবছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সংসদ, প্রশাসনের সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে আমাদের বিচার বিভাগকে। এরা যদি আবার ক্ষমতায় আসে কেউ রেহাই পাবে না।
What's Your Reaction?