এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ, ১১ হাজারের বেশি ফল পরিবর্তন

Aug 29, 2023 - 00:26
 0  56
এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ, ১১ হাজারের বেশি ফল পরিবর্তন

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করা ১১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থীর ফলে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮১১ জন শিক্ষার্থী, ফেল থেকে পাস করেছেন ২২১২ শিক্ষার্থী। ফেল থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনজন। বাকি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রেডে ফল পরিবর্তন হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করা ১১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থীর ফলে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮১১ জন শিক্ষার্থী, ফেল থেকে পাস করেছেন ২২১২ শিক্ষার্থী। ফেল থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনজন। বাকি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রেডে ফল পরিবর্তন হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ১০টি সাধারণ বোর্ডের প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। বাকি আছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল, এটি এখনো বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি।

বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তনের পেছনে পরীক্ষকদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে আন্তঃবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার বলেন, ‘সব বোর্ডের তথ্য আমার কাছে নেই। তবে যে তথ্য দেখা গেছে, এটি আসলেই উদ্বেগের বিষয়।’

পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে ফল পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংখ্যাটি যদি নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজের বাইরে চলে যায় তবে পরীক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করি। সব বোর্ডের তথ্য সংগ্রহ করে যদি নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজের বাইরে যায় তবে চিহ্নিত পরীক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী অভিযুক্ত বেশিরভাগ পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অপরাধের মাত্রা বেশি হলে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে কোনো উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের যোগ-বিয়োগগুলো দেখা হয়। এতেই এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এটা শুধু পরীক্ষকদের গাফিলতির কারণেই হয়েছে।

২০১৯ সালে টানা তিন বছর ধারাবাহিক গাফিলতির কারণে ১ হাজার ২৬ পরীক্ষককে শাস্তির আওতায় আনে শিক্ষাবোর্ড। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বোর্ডের আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযুক্ত বেশিরভাগ পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত করা, কাউকে সারা জীবনের জন্য কোনো বোর্ডের পরীক্ষক হতে না পারার মতো শাস্তি দেওয়া হয়। তবে যে সব পরীক্ষক খাতা মূল্যায়নে কেলেঙ্কারি বা ক্রাইমে যুক্ত হন, তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ এবং চাকরিচ্যুতির নজির রয়েছে।

পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে তোলা হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না?



What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow