সংলাপে বসবে বাংলাদেশ ও আমেরিকা
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নবম দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে সোমবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে দুদেশের মধ্যে অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপ হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি বনি জেনকিন্স। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় রেজনিকের সঙ্গে নবম সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম।
রোববার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৫ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা সংলাপটি হবে জানিয়ে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন মিরা রেজনিক। বার্ষিক বেসামরিক আয়োজনে এই নিরাপত্তা সংলাপে দুদেশের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করবেন।
এই সংলাপ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যকার সর্বাঙ্গীন নিরাপত্তা সম্পর্কের অংশ জানিয়ে আরও বলা হয়, দুদেশের নিরাপত্তাবিষয়ক অংশীদারিত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই দেশের স্বার্থ অভিন্ন। এ অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দুদেশের দৃষ্টিভঙ্গিও একই ধরনের। এই পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপ আয়োজিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-ওয়াশিংটন নবম নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারতের নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। সংলাপে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আবারও আহ্বান জানাতে পারে বাংলাদেশ। অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে দুই দেশ জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (আকসা) নিয়ে 'গঠনমূলক আলোচনা' করেছিল। গত ২৩-২৪ আগস্ট দুদেশের সামরিক প্রতিনিধিদের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সংলাপেও জিসোমিয়া বিশেষ গুরুত্ব পায়। এবারের নিরাপত্তা সংলাপেও এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সূত্র জানা গেছে।
আরও জানা যায়, নিরাপত্তা সংলাপে অংশগ্রহণ ছাড়াও মিরা রেজনিক বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
What's Your Reaction?