সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বরগুনা।
সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মো: মশিউর রহমান খান,
(বিচারক জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল বরগুনা, জনাব মোহাম্মাদ মাহবুব আলম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরগুনা, জনাব মোজাম্মেল হোসেন রেজা , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরগুনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, জেলা শিশু বিষয়ক,জেলা
লিগ্যাল এইড কর্মকর্তার প্রতিনিধি, বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটরগণ ও জেলা তথ্য অফিসার ও ছয়টি থানার অফিসার্স ইনচার্জ ও শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকতা গণ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মো.জুলহাস মোল্লা, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর,বরিশাল বিভাগ, এসসিজেএসসিপিবি প্রকল্প।
এসময় তারা আলোচনা করেন, শিশু আইন ২০১৩ বাংলাদেশে
শিশু সুরক্ষার প্রধানআইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর যত্ন, পরিচর্যা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করা। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য। এই আইনের প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রবেশন কর্মকর্তা, বিচারক, শিশু আদালত।
শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রাথমিক দায়িত্ব শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার। এই আইন অনুসারে শিশুকে গ্রেফতার করা হলে শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মক আবশ্যকীয় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে, প্রবেশন কর্মকর্তা ও উক্ত শিশুর মাতাপিতাকে উক্তরূপ রাফতার সম্পর্কে অবহিত করা, প্রবেশন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা ও পরামর্শক্রমে রাফতারকৃত শিশুর বিষয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণ করা অর্থাৎ শিশুকে থানা থেকে মুক্তি প্রদান অথবা বিকল্প পন্থায় প্রেরণ করা অথবা থানা থেকে করা। উক্তরূপ কোন পন্থা, গ্রেফতারকৃত শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থের পরিপন্থী হলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা যেমন কে কোন নিরাপদ স্থানে প্রেরণের ব্যবস্থা করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভ্রমন সময় ব্যতীত) শিশু আদালতে হাজির করা।
শিশু আদালত কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেসমূহ হচ্ছে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুর ক্ষেত্রে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান, বিকল্প পন্থায় প্রেরণ ও জমিন প্রদান। উক্তরূপ ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা সম্ভব না হলে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার অংশ হিসাবে আদালত হতে যুক্তিসঙ্গত দূরত্বে মধ্যে অবস্থিত কোন প্রেরণের আদেশ প্রদান। আদালতে শিশুর প্রথম উপস্থিতির তারিখ হতে ৩৬০ দিনের মধ্যে এবং প্রয়োজনে আরো ৬০ দিন বর্ণিত চারকার্য সম্পন্ন করা।