ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর সফরে যা থাকছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন। ভারতের জি-২০ সম্মেলন শেষে ঢাকা সফর করবেন তিনি। তার এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইমানুয়েল মাখোঁর সফর সম্পর্কে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাখোঁ ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফর করবেন।
এ সময় প্রেসিডেন্ট মাখোঁ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং ভোজসভায় যোগ দেবেন। সফরে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর এবং সবশেষ দুই দেশের একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি তাকে বিদায় জানাবেন। এ সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফ্যান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা উপস্থিত থাকবেন। ১১ সেপ্টেম্বর মাখোঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
মাখোঁর সফরটি হবে দীর্ঘ তিন দশক পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তখনকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশে এসেছিলেন। এদিকে ২০২১ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্বিপক্ষীয় সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ফ্রান্স দূতাবাস জানিয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফরের মধ্য দিয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছে। বিশেষ করে প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেটের কাঠামোর সক্রিয় সমর্থক ঢাকা। শান্তিরক্ষা, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী বাংলাদেশের পাশে থাকবে ফ্রান্স সরকার।
What's Your Reaction?