ড. ইউনূস সরকারের প্রতিহিংসার শিকার
বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ ও হয়রানিমূলক বিচারিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন- বিএমএর সাবেক নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গর্ব। তিনি ক্ষুদ্র ঋণ, সামাজিক ব্যবসার তত্ত্বে সারাবিশ্বে রোল মডেল। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের অবস্থানকে তিনি সমুজ্জল করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তিÍ পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, এ বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে বর্তমান অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে হয়রানি করছে। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক দখল, ব্যাংক হিসাব তলব, তদন্তের নামে প্রতিহিংসামূলকভাবে হয়রানি ও হেনস্তা করা হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে আওয়ামী বুদ্ধিজীবীগণ প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের মাধ্যমে এরকম সম্মানিত ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে যাচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি এরূপ হয়রানিমূলক আচরণের অন্তর্নিহিত কারণ এ দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীর কাছে মোটেই অস্পষ্ট নয়। আমরা মনে করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এভাবে অপদস্থ করার মাধ্যমে বিশ্বপরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রকারান্তরে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকেই অসম্মানিত করা হচ্ছে।
আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়রানিমূলক সকল পদক্ষেপ ও সরকার সংশ্লিষ্ট সকলের অশালীন বক্তব্য বন্ধ করা ও এর মাধ্যমে দেশের ম্রিয়মান ভাবমূর্র্তি রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকৃত বিএমএর অন্যান্য সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন- অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, ডা. বায়েছ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবীর লাবু, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মঈনুল হাসান সাদিক, অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, অধ্যাপক ডা. শামিমুর রহমান, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা. রফিকুল হক বাবলু, অধ্যাপক ডা. হারুন-আল-রশিদ, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, ডা. শহিদুল আলম, ডা. মো. আব্দুস সালাম, ডা. শহিদ হাসান, অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সুমন নাজমুল হোসেন, ডা. মো. ওবায়দুল কবীর খান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এম এ সেলিম, ডা. ওয়াসিম হোসেন, অধ্যাপক ডা. মওদুদুল আলামগীর পাভেল, ডা. শাহ মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. এ কে এম মুসা, ডা. মো. আক্তারুজ্জামান, ডা. আমিরুজ্জামান খান লাভলু, ডা. শাহ্ মো. হাফিজুর রহমান মুজাহিদ, ডা. আসফারুল হাবীব রোজ, ডা. মো. আব্দুল মুত্তালিব, ডা. মোফাখ্খারুল ইসলাম, ডা. খায়রুল ইসলাম, ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ডা. খালেকুজ্জামান বাদল, ডা. হাসান জাফর রিফাত, ডা. রেহান উদ্দিন খান, ডা. এম এ কামাল, ডা. মো. আবুল কেনান, ডা. সাইফ উদ্দিন নেছার আহমেদ তুষান, ডা. মজিবুল হক দোয়েল, ডা. সায়েফউল্লাহ, ডা. নিখিলেন্দু, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, ডা. আবু হাসান লাল্টু, ডা. মো. ওয়াসিম, ডা. মো. আবুল কালামসহ বিএমএ’র শতাধিক সাবেক নেতৃবৃন্দ।
What's Your Reaction?