মেজর হাফিজের বিএনপি দল ছাড়ার গুঞ্জন, কী বললেন
সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে কদিন পরেই তপশিল ঘোষণা করা হবে। যাকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। এর মধ্যেই আলোচনায় আসে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। গুঞ্জন উঠে দল ছাড়ার।
বিষয়ে কথা বলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।টকশোতে ব্যারিস্টার রুমিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তিনি নতুন দল করছেন না, দলে সংস্কার চেয়েছেন। তবে তিনি তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, দলকে সংস্কার করুন। এভাবে রাজনৈতিক দল চলে না। খালেদা জিয়া যতদিন সুস্থ ছিলেন দলে কোনো সমস্য হয়নি। তার অনেক কথায় ফুটে উঠেছে তারেক রহমানের কারণে দলে অসন্তোষ, ফলে দলটি ভাঙার পথে?জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা দেখেছি, একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী যখন বিএনপি থেকে চলে গেলেন এবং নতুন বিকল্পধারা তৈরি করলেন, সেটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকেনি। তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল উজ্জ্বল কম ছিল না, তারপরও টিকতে পারেননি।
একই পরিণতি বহন করতে হয়েছে কর্নেল অলিকে। তিনি এলডিপি করেছেন। কিন্তু সেই এলডিপি এখন বিএনপি জোটের সঙ্গে। আরও পেছনে যদি যায়, মান্নান ভূঁইয়াকে দেখেছি তিনিও আর রাজনীতিতে টিকতে পারেনি। নো বডি হয়েই তাকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। তারও আগে যদি যাই, বিএনপি যখন আশির দশকে, সেই সময় বিএনপি ভাঙার একটা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি।সুতরাং বিএনপি থেকে চলে গিয়ে অতীতে কেউ ভালো কিছু করতে পারেনি। একই কথা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে, আওয়ামী লীগ থেকে চলে গিয়ে বড় কিছু করেছে সে নজিরও নেই। ইতিহাস পর্যালোচনা করে যদি দেখি, তা হলে দেখতে পাব, বিএনপির ভাঙার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না।
প্রশ্ন হতে পারে মেজর হাফিজ তা হলে কেন প্রেস কনফারেন্স করলেন? আমি একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি, তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তার আগেই তথ্যমন্ত্রী তার ব্যাপারে কথা বলেছেন। সে কথা ভেসে বেড়াচ্ছিল। সেই সময় হয়তো সাংবাদিকরা পৃথক পৃথক যোগাযোগ করছিল হয়তো। সে জন্য সবাইকে একসঙ্গে ডেকে কথা বলেছেন। সেখানে মেজর হাফিজ স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে যায়, সে দল থেকেই তার নির্বাচনে যাওয়া উচিত এবং বিএনপির হয়েই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
What's Your Reaction?