নারী শিক্ষককে মাদ্রাসা সুপারের শ্লীলতাহানী, মামলা করায় হুমকি
বরগুনায় একটি মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের এক নারী শিক্ষককে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয়টি অবগত করে আইনী পদক্ষেপ নিতে যাওয়ায় শিক্ষিকাকে হুমকি দিচ্ছেন ওই সুপার।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষিকা এমনই অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত মো. রাকিবুল হাসান বরগুনার আমতলী উপজেলার বালিয়াতলী চরকগাছিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে কর্মরত এবং ভুক্তভোগী মোসা. কারিমা একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
কারিমা বলেন, মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকেই সুপার রাকিবুল হাসানের লালশার শিকার আমি। বিভিন্ন সময় আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু আমি তার সকল প্রস্তাবই প্রত্যাক্ষান করায় তিনি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছেন। এমনকি আমার পদোন্নতির বেতন আবেদনের সময়ও আমাকে ওই একই প্রস্তাব দেন। অন্যথায় ২৬ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। পরে নিরূপায় হয়ে তার দাবীকৃত টাকা দেই। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানতে পেরে সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এড়িয়ে যান এবং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে আমাকে ডেকে অশ্লীল গালমন্দ করেন। আমি প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে মারধরসহ শ্লীলতাহানী করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সমস্ত ঘটনা ম্যানেজিং কমিটির কাছে অভিযোগ শেষে সুপারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে গিয়ে তিনি আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে এখন হয়রানীসহ হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এ ঘটনার আমি সঠিক বিচার চাই।
শুধু নারী শিক্ষিকারই নয়, ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয়দের মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্য সহ আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে সুপার রাকিবুলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয় সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। পরে আপনাদেরকে জানাব।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবিএম সিদ্দিক বলেন, এসব অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেই। পরপর দুইবার নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?