জালিয়াতিতে বরগুনায় ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে বরগুনার দুইটি আসনের ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রাথমিক ভাবে বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, বরগুনা-১ আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান ও মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, বরগুনা-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আ. রাজ্জাক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিক।
জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র সহ বিভিন্ন দলের মোট ১১ জন ও বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসন থেকে ১১ মোট জন সহ দুটি আসন থেকে মোট ২২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। দুই আসনে ২২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. খলিলুর রহমানের ১% ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর যাচাই বাছাইয়ে একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকার অভিযোগে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ভ্যাট কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের খুলনা খালিশপুরে চাকরি থাকাকালীন ৫ টি মামলার অভিযোগসহ ১% ভোটারের মধ্যে ১০ জনের স্বাক্ষর যাচাইয়ে ৩ জন স্বাক্ষর দেননি বলে দাবী করেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান তার মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে অগ্রনী ব্যাংক থেকে ৫ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইপি কর্তৃক তিনি ঋণ খেলাপি হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আ. রাজ্জাককে মনোনয়নই দেওয়া হয়নি মর্মে বাংলাদেশ কংগ্রেসের কেন্দ্র থেকে সুনির্দিষ্ট চিঠির মাধ্যমে জানালে তার মনোনয়ন বাতিল বলে গন্য হয়েছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিক ১% ভোটার মধ্যে ১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর যাচাইয়ে ৮ জন স্বাক্ষর দেননি মর্মে অস্বীকার করেছেন। এসকল কারণে বিধিমালা লঙ্ঘিত হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
What's Your Reaction?