বরগুনা ১ আসন: দলীয় প্রার্থীকে জরিমানার সুপারিশ
বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে জরিমানা করার সুপারিশ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বরগুনা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাঈদ নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর পাঠানো প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনে ডেকে ‘কঠোরভাবে সতর্ক’ করার সুপারিশও করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওয়া শোকজের জবাব দেওয়ার পর শম্ভুসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে জরিমানার সুপারিশ করা হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর শম্ভুসহ নয়জন আওয়ামী লীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছিল নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। ১২ ডিসেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে জবাব দেন শম্ভুসহ নয় আওয়ামী লীগ নেতা।
শোকজের জবাব পাওয়ার পর একই অভিযোগ থেকে পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়ে শম্ভুসহ বাকি চারজনের বিরুদ্ধে জরিমানার সুপারিশ করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
জরিমানার সুপারিশ করা অপর তিনজন হলেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জোমাদ্দার ও তালতলীর কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারেক মাঝি।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে পাঁচ হাজার টাকা এবং বাকিদের ১০ হাজার করে টাকা জরিমানার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর বরগুনার তালতলী উপজেলার কলবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করা হয়। ওই সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শম্ভু তালতলী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্তকে উদ্দেশ্য করে অপমানসূচক বক্তব্য দেন।
এছাড়া তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান, আমতলী আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান ‘১৮ তারিখের পর খেলা শুরু হবে, ভোট তো দূরে থাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী এজেন্ট খুঁজে পাবে না’ মর্মে হুমকি দেন এবং কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারেক মাঝি ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মুগুর দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। ’ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এসব বক্তব্যের ভিডিও ও স্থিরচিত্র এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রমাণ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সংরক্ষিত আছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
What's Your Reaction?