ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে নড়াইলে র্যালি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে নড়াইলে প্রতিবাদ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) নড়াইল উপশহর গাড়ুচিরা বাজার থেকে ঘোড়াখালী পর্যন্ত প্রতিবাদ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সাল থেকে এর পেছনে মূল মদতদাতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী দেশ।
গত অক্টোবর থেকে পুনরায় নৃশংস গণহত্যা শুরু করেছে। ঘর-বাড়ি, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস করে এবং তাদের খাদ্য-পানিসহ বেঁচে থাকার সব অবলম্বন বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
বক্তারা বলেন, চূড়ান্তভাবে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও জাতিগত নিধন করা হচ্ছে। গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৪ হাজার, আহত ৭৬ হাজার এবং ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন আরও সাত হাজার মানুষ; নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার নারী ও শিশু।
১৭ হাজার শিশু এতিম- যাদের দেখাশোনার কেউ নেই। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভারতসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিলেও, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের বিবেকবান মানুষ ইসরায়েলি গণহত্যা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছে। তারা গণহত্যা বন্ধের দায়িত্বে নিজ নিজ দেশের অপরাধী সরকারকে দায়ী করতে দ্বিধা করছে না।
প্রতিবাদ সভায় অধ্যক্ষ মাওলানা বায়েজিদ হোসেন বলেন, ১০ এপ্রিল ফিলিস্তিনের ঈদ ছিল। পত্রিকায় দেখলাম, ঈদের দিনেও সেখানে ১৫৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। গত ছয় মাসে প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ঈদের পরের দিন আমরা সমবেত হয়েছি। ফিলিস্তিনিদের যে লড়াই সেই লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি। আমরা গতকাল ঈদ পালন করেছি কিন্তু ফিলিস্তিনেরা ঈদ পালন করতে পারেনি। তারা কোনো উৎসব পালন করতে পারে না, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে ইজরায়েলের সকল ধরনের পণ্য বয়কট করুন।
এ সময় প্রতিবাদ সভার সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, দলজিৎপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মো. ইউনুস মিয়াসহ আশপাশের মসজিদের ঈমামগণ, মুসল্লী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?