স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ ১৭ মে শুক্রবার সারাদেশে জেলায় ও মহানগরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। কিছু জেলায় প্রশাসনের বাধার মধ্য দিয়ে মিছিল করা হলেও কিছু জেলায় শুধুমাত্র সমাবেশ করা হয়, মিছিল করতে দেওয়া হয়নি।
গত ১০ মে ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সারাদেশের যেসব জেলায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলাগুলো হলো: ঢাকা জেলা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর মহানগর ও জেলা, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা, রাজশাহী মহানগর ও জেলা, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, ল¶ীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা মহানগর ও জেলা, বি-বাড়ীয়া, খুলনা মহানগর ও জেলা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাত¶ীরা, রংপুর মহানগর ও জেলা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদের মদদ ছাড়া ইসরাইল এমন হামলা করার সাহস পেত না। প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মার্কিন মদদপুষ্ট জায়নবাদী ইসরাইলি হামলা ও ওই এলাকা জনমানবশূন্য করার পরিকল্পনা করছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। ১ লাখেরও বেশি মানুষকে আহত ও পঙ্গু করা হয়েছে। পুরো গাজাকে বৃহত্তর জেলখানায় পরিণত করে সেখানে সবধরনের নাগরিক সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন বর্বরতা ও অসভ্যতা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এখন উচিত মজলুম ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে বিশ্বের সকল মুসলমানদের দাঁড়ানো। মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনের পাশে থাকার ঘোষণা দিলে ইসরাইল বাধ্য হবে পিছু হটতে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ফরিদপুরের মধুখালিতে উগ্রবাদি হিন্দুরা মুসলমান শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা পরিকল্পিত। জেলা প্রশাসনের তদন্তে সহোদর দুই ভাই মন্দিরে আগুন দেওয়ার সম্পৃক্ততা পায়নি। তাহলে কোন প্রকার দোষী না হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদেরকে পিটিয়ে মারা হলো এর জবাব প্রশাসন ও সরকারকে দিতে হবে। খুনিদের আড়াল করলে সর্বত্র আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। খুনিরা হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় ভারতের চাপে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। কিন্তু ঈমানদার জনতার রুদ্ররোষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। ঈমানদার জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে হলেও খুনিদের বিচারের দাবি আদায় করবে।
What's Your Reaction?