ভয়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা

ভয়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা: ডাঃ জাকিয়া সুলতানা।

বর্তমান সমাজে নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রবণতা এবং ক্যারিয়ার গড়ার আকাঙ্ক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর ফলে একটি নতুন সংকট তৈরি হয়েছে যা আগামী ৫ বছরে আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। ডাঃ জাকিয়া সুলতানা, একজন বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্ট, সম্প্রতি এই বিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের বিয়েহীনতা

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সেও বিবাহিত নয়। তারা তাদের ক্যারিয়ার গড়তে এতটাই মনোনিবেশ করেছেন যে ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। এই অবস্থায়, আগামী কয়েক বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্যক্তিগত জীবনে সংকট

ডাঃ সুলতানার মতে, বিয়েহীন এই নারীরা তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ, এবং ভালোবাসা পূরণে ব্যর্থ হবেন। এর ফলে, তারা সংসারে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন। স্বামীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আর মধুর না থেকে ক্রমাগত দরকষাকষি এবং বিরোধে পরিণত হতে পারে।

মানসিক পরিবর্তন ও সংসার জীবন

ডাঃ সুলতানা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের মতো ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এই নারীরা মানসিকভাবে পুরুষে পরিণত হতে পারেন। তাদের মানসিক গঠন এমনভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায় যে তারা সংসারে নারীর ভূমিকা পালন করতে অসুবিধায় পড়েন। স্বামীরা তাদের মাঝে নারীত্বের কোমলত্ব এবং আনুগত্য না পেয়ে সম্পর্ক রক্ষায় অসহায় বোধ করতে পারেন।

ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধ

ডাঃ সুলতানা সতর্ক করেন যে, এই প্রবণতা শুধু ব্যক্তিগত জীবনকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং এর প্রভাব পড়বে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধের উপরেও। তিনি বলেন, "মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে, তেমনই সংসার এবং আখিরাতের মুক্তি থেকেও বঞ্চিত হবে।"

সমাজের করণীয়

সমাজের এই সংকট মোকাবিলায় ডাঃ সুলতানা কিছু সুপারিশ করেছেন। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, একটি সুষম জীবনধারা গ্রহণের মাধ্যমে এই সংকট এড়ানো সম্ভব।

ডা: জাকিয়া সুলতানা, গাইনোকোলজিস্ট।

এই নিউজ এর মূল থিংস সংগ্রহ করা হয়েছে ফেসবুক পোস্ট থেকে