আওয়ামীলীগ নেতাকে গায়েব করার হুমকী দিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা!
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম দালালকে লাঞ্চিত করা সহ তাকে গায়েব করে ফেলার হুমকীর অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৩জুন) কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে জিডি’র অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা দেন।
এর আগে ভুক্তভোগী আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সোহোগের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় ৭৭৭ নম্বর সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন।
জিডির লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২১ জুন ২০২৪ (শুক্রবার) রাত অনুমান ৮ টার দিকে উপজেলার বড় বালিয়াতলি ইউনিয়নের নিউ সাউথ বাংলা মিষ্টান্ন ভান্ডারে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে নাস্তা খেতে যান ভুক্তভোগী রফিকুল। পরে যুবলীগ নেতা সোহাগও উক্ত দোকানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জেরে রফিকুলকে দেখে তার উপর চড়াও হন। অকথ্য, অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করা সহ চড়, থাপ্পর, লাথি মেরে লাঞ্চিত করেন রফিকুলকে। এসময় আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুলকে গায়েব করে ফেলার হুমকী দেন সোহাগ। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন রফিকুল।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, ’রফিকুল ইসলাম ৫জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে অসৌজন্য মূলক
আচরন করেছেন। এছাড়া এলাকার দু’টি গোরস্থান উন্নয়ন কাজের প্রাপ্ত বরাদ্দ কাজ না করে আত্মসাত করেছেন। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় তিনি এ ভিত্তিহীন, অসত্য অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন,’আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুলের দায়েরকৃত জিডি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
প্রসংগত, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ। নির্বাচনে তিনি ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারের কাছে পরাজিত হন।
What's Your Reaction?