মামলা থেকে নাম বাদ দিতে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি
বরগুনা জেলার তালতলীর ০১ নং পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো.হাবিনুর খান বিরুদ্ধে মামলার আসামি তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
তালতলীর উপজেলার ০১ নং পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো.হাবিনুর বিরুদ্ধে ভাঙচুর, মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে উঠেছে।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার হাতে পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। দেশ ত্যাগের পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ অবনতি ঘটে। তার সুযোগ নিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত ০১ নং পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো.হাবিনুর খান। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে
১ম ঘটনা ১৮ অক্টোবর ২০১৩ ও ১৭ এপ্রিল ২০১৭ সালে ছোটবগী খেয়াঘাট সংলগ্ন রাস্তায় হাবিনুর খানের একটা চায়ের দোকান ছিলো সেটা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ হয়েছে। তৎকালীন সময়ে এই মামলা নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয়েছিলো। তখন সে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন উক্ত মামলার আসামিগ। সেই একই ঘটনার আলোকে নতুন করে আবার মামলা সাজিয়ে ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। মামলা থেকে নাম বাদ দিতে মোটা অংকের টাকা এবং মটরসাইকেল দাবির অভিযোগ উঠেছে।
সে গত কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে মামলা দিয়ে আসছিল আবার অনেককে ফোনে মামলার আসামি না করার জন্য চাঁদা দাবি করে আসছিল বলে বিভিন্ন লোকজনের অভিযোগ রয়েছে।
ছোট বগী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বশির উদ্দিন জোমাদ্দার বলেন, ২০১৭ সালে একটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে ২ টি মামলা করেছে,সে মামলা ২টি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। সেই একই ঘটনা নিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে মটর সাইকেল ও টাকা দাবী করছে। এবং একজন ইউনিয়ান চেয়ারম্যান তার দাবী অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এবং আরো এক পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন,বেশ কিছু দিন আগে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবী করেছিলো। আমি তখন টাকা না দিলে। এখন মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছে আবার চাঁদা দাবী করে। সে আরো বলেন, টাকা দিলে মামলা থেকে নাম কেটে দিবে,আর টাকা দিলে মামলায় আসামী করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকেন। তারপর টাকা দিলে সেই মামলা স্থানীয়ভাবে সমাধান করেন। পূর্বে এরকম অনেক নজির আছে তার নামে। গত ৫ আগষ্ট সরকারের পতন হবার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২০১৭ সালের ঘটনার রেশ ধরে অনেকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী করছে।
তালতলীর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনকে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার অভিযোগে উঠেছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ নীতি আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী কার্যকলাপ করে আসছেন ০১ নং পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো.হাবিনুর খান।
What's Your Reaction?