টাকা আত্মসাৎ করায় বরখাস্ত হল প্রধান শিক্ষক
বরগুনা সদর উপজেলার লেমুয়া খাজুরা পার্বতী পি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলীকে বিদ্যালয়ের ৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা উত্তোলন করে
বরগুনা সদর উপজেলার লেমুয়া খাজুরা পার্বতী পি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলীকে বিদ্যালয়ের ৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার বিদ্যালয় ব্যাবস্হাপনা কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বিদ্যালয় ব্যাবস্হাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন সোহেল এর স্বাক্ষরিত চিঠিতে একই সাথে কেন তাকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত করা হবেনা চিঠি প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্য জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা ফেরদৌসি বেগমকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্যও বলা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় বিদ্যালয় দাতা সদস্যসহ সরকারি অনুদানের অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয় ব্যাবস্থাপনা কমিটি গঠনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও কোন মিটিং তিনি করেননী। বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের ভূয়া ভাউচার তৈরী করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২ জন শিক্ষক একজন পিওন নিয়োগে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনার পাশাপাশি নিজে একজন সহকারী শিক্ষককে নিয়ে যৌথ হিসাব খুলেছেন।
কমিটির রেজুলেশন খাতা-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গোপন করে রেখেছেন। অর্থের বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের ট্যাপ অন্যকে দেবার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয় ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন সোহেল বলেন, প্রধান শিক্ষক কমিটিকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কোন সহযোগীতা করছেন না।
স্থানীয় দাতা সদস্য এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সহ সরকারী ভাবে প্রাপ্ত অনুদানের টাকা জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। একজন সহকারী শিক্ষককে নিয়ে যৌথ হিসাব খুলেছেন।
অডিট কমিটির নিকট আয়-ব্যায়ের হিসাব দাখিলের জন্য চিঠি দেয়া হলেও কোনো হিসাব তিনি দেননি।
০৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে বিদ্যালয়ের ৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা আত্মসাৎ প্রমানিত হওয়ার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এবং পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
What's Your Reaction?