ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া নড়াইলের ঊষা রানীকে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা বলানোর অভিযোগ
ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশের নড়াইলের নলদি ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ঊষা রানী রায়কে আটকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মিডিয়ায় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঊষা রানী রায়ের একটি বক্তব্য ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দ টিভিতে প্রচারিত হয়। এ বিষয়ে তার বাড়ি গেলে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় যেন এলাকায় কোন উত্তেজনার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সজাগ আছেন এলাকার নেতৃবৃন্দ।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের জনসাধারণের একটি বড় অংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। দীর্ঘদিন যাবত হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন মিলে মিশে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন। বিগত শারদীয় দুর্গোৎসবের সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন করেন। এ সময় জামায়াতে ইসলাম, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে তাদের পাশে ছিলেন। কয়েকদিন আগে নলদী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য চাকুলিয়া গ্রামের উষা রানী চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এ পর ভারতীয় মিডিয়ার তার একটি বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। এই মিথ্যা বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর তার বাড়িতে বিষয়টি জানতে আসেন এলাকার গনমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় তার স্বজনের অভিযোগ করেন, চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার দীর্ঘ চার ঘন্টা আটকে রেখে তাকে জোর করব বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেমায়েত হোসেন বলেন,নেট দুনিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর তাৎক্ষনিক আমরা দলীয় নেতাকর্মীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগীতায় যাতে কোন অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে কাজ করছি। এ ইউনিয়নে সম্পৃতির বন্ধন অটুক রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ জামাত ইসলামের নেতা, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নড়াইল জেলার সহকারি সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান,এই মিথ্যা খবর প্রচারিত হওয়ার পর এলাকায় যেন কোন উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা সজাগ আছি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পাখি বলেন, আমার ইউনিয়নে আমার জানা মতে এই এলাকায় হিন্দুদের কোন ক্ষতি হয়নি। বিগত দূর্গাপুজায় জামায়াত শিবির, বিএনপির নেতৃবৃন্দ এলাকার বিভিন্ন পূজামন্তপ পাহারা দিয়েছে। এখানে সকলে অত্যন্ত মিলে মিশে আছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য উষা রানী রায়কে ভারতে জোর করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
সকল ষড়ষন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আরও সামনে এগিয়ে যাবে এটিই এদেশে হিন্দু মুসলিম সকলের প্রত্যাশা।
What's Your Reaction?