জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও উচ্ছেদের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নড়াইলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে উচ্ছেদ প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নড়াইল পুরাতন বাজারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক কর্তৃক উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের আয়োজনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম স. ম. শফিউল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা মৌজার দক্ষিণ পাশে চিত্রা নদীর চর পড়ে থাকা জমিতে দীর্ঘ ৫০ বছর আগে থেকে মহকুমা প্রশাসক ও পরবর্তী জেলা প্রশাসক অকৃষি খাস জমি হিসাবে বন্দোবস্ত দিয়ে আসছেন। আমরা নিজ নিজ ইজারাকৃত জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। ১৯৯৩ সালে পৌর এলাকার খাস/অকৃষি জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে উক্ত জমি গত ১৭/০৭/৯৬ তারিখে বাটা দাগ ও প্লট সৃষ্টি করে স্থায়ী ইজারা দেওয়ার প্রস্তাবনা বিভাগীয় কমিশনারের নিকট প্রেরণ করা হয়। সাম্প্রতিক জরিপে মহিষখোলা মৌজায় বন্দোবস্তকারীরা ৩০ ধারায় মাঠ পর্চা পেলেও ৩১ ধারার আপীলে তা খারিজ হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, স্থায়ী বন্দোবস্ত দরখাস্তকারীদের মধ্য হতে কয়েকজনকে মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। অন্যদের ঘরবাড়ি অপসারণের নোটিশ প্রদান করলে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হই। মহামান্য হাইকোর্ট কাগজপত্র বিবেচনায় ৬০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীদের অনুকুলে উক্ত জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার নির্দেশ দেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক পুণরায় স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে (২৯/০১/২৫ তারিখ) উক্ত খাস /অকৃষি জমিকে নদীর শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে আমাদের উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক আমাদেরকে সরকারি বিধি মোতাবেক অকৃষি ও খাস জমি ইজারা দিয়েছেন। সেখানে আমরা তিলে তিলে অর্জিত অর্থ দিয়ে নির্মিত বাড়িঘরে ৫০ বছর যাবৎ বসবাস করছি। আমাদেরকে উচ্ছেদ করলে আমাদের খোলা রাস্তায় বা গাছতলায় পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে হবে। আমাদেরকে উচ্ছেদ না করার জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অশোক কুমার কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তবিবর রহমান খান ও খন্দকার আল মাসুদ হাসান, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান পলাশ, নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আফানুর রহমান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ জমি সরকারি খাস জমি। উচ্ছেদের জন্য যাদের নোটিশ করা হয়েছে, তাদের কখনও বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি।###
What's Your Reaction?






