এমপি ও তার পরিবার আমাকে প্রার্থী করেছেন; উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজান
আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ৩য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে দলীয় প্রতীক থাকবে না এবং কোন মন্ত্রী, এমপি কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না মর্মে কগা হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা মানছেই বা ক'জন!
২৯ মে বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বামনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দাবী করছেন তিনি সংসদ সদস্য (এমপি) ও তার কন্যা ফারজানা সবুর রুমকির মনোনিত প্রার্থী। ওই প্রার্থীর নাম মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তিনি ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার সাথে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও।
এর আগে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা (এমপি)র বড় কন্যা ফারজানা সবুর রুমকিকে গত ১৭ মে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেছে। এমন কিছু ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইজবুক) দেখা গেছে। মুহাম্মাদ রিমন (Muhammad Rimon) একটি আইডি থেকে ছবিগুলো পোষ্ট করে “রুমকি আপার মার্কা আনারস মার্কা-মিজান মামার মার্কা (আনারস প্রতীক), আজকে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু-আল্লাহ ভরসা” ক্যাপশন লিখে পোষ্ট করা হয়। এছাড়া আরও অনেকগুলো আইডি থেকে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে ছবিগুলো পোষ্ট করা হয়। ছবিগুলো প্রকাশের পর এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
এদিকে গত ২৪ মে বুকাবুনিয়া বাজারে মোঃ মিজানুর রহমানের পথসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, আমাকে এমপি (সুলতানা নাদিরা) ও তার কন্যা ফারজানা সবুর রুমকি মনোনিত করেছেন। তার বক্তব্যটি ছিল এমন "আমরা সেই জায়গা থেকে ১০টি বছর অপেক্ষা করেছি। এই ১০টি বছর যেভাবে পিছিয়ে গেছে সেই জায়গা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের মধ্য থেকে একজন প্রার্থী হওয়ার কথা এবং সেই প্রার্থী আমাকে নির্বাচিত করেছে মাননীয় সংসদ সদস্যসহ তার পরিবারের যারা আছে আপনারা সবাই তাদেরকে চেনেন, ফারজানা সবুর রুমকি আপাসহ সবাই মিলে আমাকে প্রার্থীতা দিয়েছেন কারণ হল একটাই এই দূর্ণীতিবাজকে সরাতে পারলে এই উপজেলার যে উন্নয়ন কর্মকান্ড আছে, তার (এমপির) ডিও লেটারে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বার বার গেলে আগামী ৫টি বছরের মধ্যে এই বামনা উপজেলা অন্যান্য উপজেলার থেকে যেভাবে পিছিয়ে আছে সেই জায়গা থেকে একমাত্র আমাদের মাধ্যমেই উন্নতি করা সম্ভব।"
বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর থেকেই এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
বামনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমানের নিকট এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমপির কন্যা ফারজানা সবুর রুমকি আমাকে সমর্থন করে। তবে এমপির কথা আমি বলে থাকলে সেটি অনাকাঙ্খিত।
একাধিকবার ফোন করা হয় বামনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও বরিশালের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদারের মুঠোফোনে। তিনিও ফোন কল রিসিভ করেন নি। এর আগেও তাকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে এবং ভোটার উপস্থিত করতে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক তৎপর। বামনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা এমন বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমপির প্রার্থী দাবী করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করলে ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। এমন বক্তব্যে নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা চান প্রার্থীরা।
What's Your Reaction?